রামপালে সরকারি খালের অবৈধ বাঁধ কেটে দেওয়ায় হতদরিদ্র শহিদুল ইসলাম (৫২) নামের দিন মজুরকে দুই দফা মারপিট করে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার ও রামপাল থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। পুলিশ সুপার লিখিত অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে রামপাল থানার ওসি কে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগেে জানা গেছে, উপজেলার কুমলাই গ্রামের মৃত আাশ্বাদ আলীর পুত্র শেখ শহিদুল ইসলাম গত ২২ আগষ্ট সন্ধ্যায় তার বাড়ি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ঘরের পাশে থাকা অবৈধ বাঁধ কেটে দিয়ে পানি সরান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একই এলাকার তসির শেখের পুত্র আলমগীর শেখ, তার ভাই শামীম শেখ, কেয়া বেগম, তসির শেখ, রেহানা বেগম পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও মারপিট করে গুরতর আহত করে।
এ ঘটনা অভিযোগ দিলে আবারও দ্বিতীয় দফায় গত ২৩ আগষ্ট বাজারে যাওয়ার সময় সকল অনুমান ৫ টায় একই গ্রামের রজব আলীর বাড়ির সামনে তসির শেখের হুকুমে আলমগীর, শামীম ও কেয়া লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মারপিট করে গুরুত্বর আহত ও পকেটে থাকা টাকা লুট করে। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ দিলে জীবনে শেষ করার হুমকি দেয়।
আহত শহিদুল জানান, স্থানীয় বাবুল মেম্বারের হুকুমে আমাকে মারপিট করা হয়েছে। অভিযুক্ত আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে টাকা দিয়ে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে বাবুল মেম্বারের মুঠোফোনেে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শাহিদুল আলমগীরের ঘের থেকে মাছ মেরে নেওয়ার ঘটনায় হাতাহাতি হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মোঃ মনজুরুল আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply