বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:-
স্বামী হত্যার বিচার চাই, অতঃপর জ্ঞান হারালেন সাম্প্রতিক চাঞ্চল্যকর খুন হওয়া লুৎফর নিকেলের স্ত্রী সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কর্তৃক লুৎফর নিকার হত্যা ঘটনার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার পর, জেলার তালা উপজেলায় লুৎফর নিকারির কে হত্যা করার অন্যতম প্রধান আসামি তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সদ্য সাময়িক বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা সরদার মশিয়ার রহমানের ফাঁসি ও ন্যয়বিচারের দাবিতে তালা উপজেলায়,সহ সাতক্ষীরা শহরে নানামুখী কর্মসূচি, বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মানবন্ধন সহ জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ভূক্তভোগী পরিবার ও তালার সাধারণ জনগণ।
হত্যা কান্ডের বিষয়টি অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য স্বামী হত্যার বিচার দাবিতে আমাদের অনুসন্ধান টিমের সাথে সাক্ষাৎকারে লুৎফর নিকারীর স্ত্রী বললেন মশিয়ার আমার স্বামী কে মেরে ফেলেছে আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই বলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এদিকে পিতার নিশংস হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানার সময় নিহতের ছেলে সেলিম নিকারি বলেন আমাকে বাঁচাতে গিয়েছিল আমার পিতা, আমার পিতাকে মশিয়ার রহমান খুন করলেন আমি আমার পিতাকে বাঁচাতে পারলাম না, আমার পিতাকে মশিয়ার হত্যা করেছে আবার মশিয়ারের ভাই সরদার গোলজার আমাদের নামে ডাকাতি মামলার করেছে,আমি ন্যায়বিচার চাই আমার পিতার খুনির বিচার চাই।
হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া লক্ষ্যে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টি এ সি ডাক্তার রাজিব সরদার বলেন লুৎফর নিকারি কে হসপিটালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরিক্ষা মাধ্যমে তিনি মারা গেছেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন, পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর সামনে হাজার হাজার মানুষ তালা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমানের শাস্তির দাবিতে মিছিল দিচ্ছিল।
লুৎফর নিকারীর মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে টি এ এস বলেন তিনি বলেন মৃত্যু ব্যাক্তি কে তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লাথি মেরে , হত্যা করেছে বলে নিহতের স্বজনরা বলেন আমি শুনেছি।
উল্লেখ্য, ১৭ আগস্ট রাত ১১টার দিকে তালার জেয়ালা নলতার নলবুনিয়া সরকারি খালের গেটে মাছ ধরতে গেলে জিয়ালা নলতা গ্রামের লুৎফর নিকারীর ছেলে সেলিম নিকারীকে চোর সন্দেহে ব্যাপক মারপিট করেন তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, তালা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ তুহিন হোসেন ও বারুইআটি গ্রামের রনি বিশ্বাস। খবর পেয়ে বাবা লুৎফর নিকারী ছুটে গেলে তাকেও মারপিট করে খালের পানিতে ফেলা দেয়া হয়। লুৎফর নিকারীকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় সরদার মশিয়ারকে আটক করে পুলিশ। ১৮ আগস্ট সেলিম নিকারী বাদী হয়ে আটক সরদার মশিয়ারসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যা কান্ডের প্রধান আসামীর সরদার মশিয়ার রহমান এখন জেলহাজতে আটক আছেন।
Leave a Reply