মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে নীতিমালা সংশোধন চূড়ান্তকরণের ষষ্ঠ সভা ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী সভায় নীতিমালা সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত হতে পারে।
বৈঠকে অন্যানের মধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) মমিনুর রশিদ আমিন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।
এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধনে গঠিত কমিটির সদস্যরা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সভায় এমপিওভুক্ত করার ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাম্য শিক্ষার্থী, কাম্য ফলাফল, শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে নুন্যতম যোগ্যতা, শিক্ষকদের প্রমোশন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষক-কর্চারীদের কল্যাণে যা কিছু প্রয়োজন সরকার তাই করে যাচ্ছে এবং করে যাবে। এ কারণেই নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিগগিরই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। নীতিমালায় যে অসঙ্গতি রয়েছে তা নিরসেনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। এতে শিক্ষকদের চলমান সমস্যা সমাধান হবে।
সূত্রমতে, ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধনের মধ্য দিয়ে কলেজ শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের অনুপাত প্রথা ও পদোন্নতি বৈষম্য নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপকের বহু বছরের অনুপাত প্রথা শিথিল করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংশোধিত নীতিমালা জারির পর চাকরির ১০ বছর পূর্তি হলেই কর্মরত প্রভাষকদের অর্ধেক সহকারী অধ্যাপক হতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চাকরিতে জ্যেষ্ঠতার জন্য ১৫ নম্বর, প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত হাজিরার জন্য ১০ নম্বর, এসিআরের ওপর ১০ নম্বর, উচ্চতর ডিগ্রির জন্য ১০ নম্বর, গবেষণাসহ বিভিন্ন যোগ্যতার ওপর মোট ১০০ নম্বর যোগ্যতার সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি চূড়ান্ত করতে একটি সাব কমিটি করে দিবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটি যোগ্যতার সূচক নির্ধারণ করে দেবে।
এদিকে সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ ও পদোন্নতিতে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেলায় তা নেই। তাছাড়া অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত বিষয়ে নীতিমালায় রয়েছে অস্পষ্টতা। তা নিয়েও বেসরকারি কলেজ শিক্ষকরা অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে পদোন্নতির জটিলতা নিরসন চেয়ে আসছেন মন্ত্রণালয়ের কাছে।
Leave a Reply