বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন
প্রাণ ফিরছে পাহাড়ে। বাড়ছে পর্যটক। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকদের আগমনে এখন মুখর রাঙামাটি। টানা কভিড-১৯ অর্থাৎ করোনাভাইরাসের দখল যেন কাটতে শুরু করেছে পাহাড়ে। তাই এখন অনেকটা সচল রাঙামাটির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটিতে আবারও লোকারণ্য হচ্ছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ, পর্যটন ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝর্ণা ও ঘাগড়া করা বাগান ঝর্ণা। চলতি বছরের প্রায় সাত মাস করোনাভাইরাসের কারণে একেবারে নিস্তব্ধ ছিল রাঙামাটির পাহাড়গুলো। আসেনি কোনো পর্যটক। এখন আবারও সব আগের রূপে ফিরতে শুরু করেছে। আসছে পর্যটক। বাড়ছে ভিড়। প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। শুক্র, শনিসহ ছুটির দিনগুলোয় পর্যটকদের পদচারণে কোলাহল বাড়ছে। প্রকৃতিপ্রেমীদের প্রতিনিয়তই যেন কাছে টানছে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলধারা। রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া জানান, গেল ঈদুল আজহার ছুটি থেকেই রাঙামাটিতে পর্যটকের ভিড় জমছে। এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে মোটেল ও কটেজগুলো। অগ্রিম বুকিংও থাকছে আবাসিক হোটেল, কটেজ ও রেস্ট হাউসগুলোয়। এতে রাজস্ব বেড়েছে পর্যটন খাতে। অন্যদিকে টানা লকডাউনের পর কিছুটা স্বস্তি ফিরছে পাহাড়ি মানুষের মধ্যে। করোনার ভয় কাটছে সবার মধ্যে। তাই রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় দূরদূরান্তের পর্যটকরাই শুধু নন, স্থানীয়রাও ঘর থেকে বেরিয়ে ছুটে আসছেন। হারিয়ে যাচ্ছেন চোখ জুড়ানো প্রকৃতির সৌন্দর্যের আধারে। এ ব্যাপারে কথা হয় ঢাকা থেকে আগত পর্যটক জেসমিন জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন বদ্ধজীবন কাটাতে হয়েছে। নিঃশ্বাস নেওয়াটাও মুশকিল ছিল। মনে হচ্ছে এখন পরিস্থিতি অনেকটা অনুকূলে। তাই স্বাস্থ্যসচেতন থেকে পরিবার নিয়ে পাহাড়ে ছুটে এসেছি একটু স্বস্তির আশায়। প্রকৃতিতে অন্যরকম শান্তি অনুভূত হচ্ছে।’ অন্যদিকে পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি; যা করোনাভাইরাসের জন্য পর্যটকদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। আজ পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব জিতু বলেন, ‘করোনার কারণে সাজেকে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাজেক ভ্যালি পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক রিসোর্ট মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সাজেক পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে।’
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেববর্মণ বলেন, ‘শিগগরিই খুলছে সাজেক ভ্যালি। তাই এরই মধ্যে পর্যটক প্রবেশের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’
Leave a Reply