শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০২:২২ অপরাহ্ন
বাগেরহাটে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় জামিনে মুক্ত হলেও প্রতিপক্ষের অত্যাচারে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না মুক্তিযোদ্ধাসহ ২০টি পরিবার। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বাড়ি ফেরার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা বাদশা তালুকদার নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, ২০১৯ সালে প্রতিবেশী কাউছার তালুকদার ও তার ভাই মান্নান তালুকদার আমাদেরকে ফাঁসাতে এবং এলাকা থেকে উচ্ছেদ করতে তাদের দুই সন্তান খালিদ ও রিফাতকে হত্যা করে। পরবর্তীতে খালিদ হত্যা মামলায় কাউছার তালুকদার আমাদের পরিবারের ১৯ সদস্যের নামে মামলা দেয়। রিফাত হত্যা মামলায়ও আরও ১৬ জনের নামে মামলা দেয়। দুটি মামলায় আমরা জেল খেটেছি। বর্তমানে বেশিরভাগ আসামি জামিনে বের হলেও বাদীদের অত্যাচারে বাড়িতে ফিরতে পারছি না। কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকে না।
রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাট কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির খুলনা বিভাগীয় প্রধান আতিকুর রহমান মিয়া জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকায় একই বংশের প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রিফাতুল তালুকদারকে হত্যা করে রিফাতের চাচাতো ভাই ইকবাল তালুকদার ও সাকিব তালুকদার। ওই মামলায় মান্নান তালুকদারের ভাইয়ের ছেলে ইকবাল, সাকিব ও আত্মীয় হাফিজুর রহমান ছোট আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।
বাদশা তালুকদার আরও বলেন, দুটি হত্যা মামলায়-ই আমরা সকল আসামিরা জামিনে আছি। কিন্তু কাউছার তালুকদার ও তার ভাই মান্নান তালুকদারসহ তাদের ক্যাডাররা আমাদেরকে এলাকায় যেতে দেয় না। বরং আমাদের বাড়ি-ঘর, ঘের, পুকুর লুট করেছেন। এখনও আমাদের মৎস্য ঘের তারা দখল করে আছেন। আমরা যেকোনভাবে বাড়িতে ফিরতে চাই। নিজের ভিটায় থাকতে চাই পরিবার পরিজনকে নিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা বাদশা তালুকদারের স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি মেরিনা বেগম, কালাম তালুকদার, মমতাজ বেগম, সৈয়াদুর রহমানসহ পরিবারের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply