মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হেনেছে হারিকেন লরা। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে সেখানে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। লুইজিয়ানায় ‘লরা’ আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বাধিক গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ মাইল বা ২৪০ কিলোমিটার।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় লরার দাপটে বিস্তীর্ণ এলাকায় গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁচ লাখের বেশি বাড়িঘরের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া একটি শিল্পকেন্দ্রে রাসায়নিক পদার্থে আগুন লেগে যায়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
স্থলভাগে আঘাত হানার পর হারিকেন লরা এখন ঝড়ে পরিণত হয়েছে।
হারিকেন লরার তাণ্ডবের যা পূর্বাভাস ছিল, তার চেয়ে অনেক কম ক্ষয়ক্ষতি হলেও যা ক্ষতি হয়েছে, তা-ই মারাত্মক বলে গণ্য করা হচ্ছে। তবে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা মূল্যায়ন করতে কয়েক দিন সময় লাগবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লরা আঘাত হানার পর লুইজিয়ানা, টেক্সাস ও আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের কমপক্ষে আট লাখ ৬৭ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
লুইজিয়ানার গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ডস এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত লুইজিয়ানায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় এটাই।
ঘণ্টাপ্রতি গতির হিসাবে হারিকেন লরা পেরিয়ে গেছে হারিকেন ক্যাটরিনাকেও। ২০০৫ সালে আছড়ে পড়া ক্যাটরিনার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৫ মাইল।
লুইজিয়ানার গভর্নর জানিয়েছেন, হারিকেনের তাণ্ডবে নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে গাছের নিচে চাপা পড়ে। নিহতদের মধ্যে ১৪ বছরের এক কিশোরী রয়েছে বলে জানান গভর্নর। নৌকাডুবিতে একজনের মৃত্যু হয়। আর নিজ বাড়িতে জেনারেটর বিস্ফোরণ থেকে নিসৃত কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
লরা আঘাত হানার পূর্বাভাস পেয়েই প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছিল লুইজিয়ানা প্রশাসন। টেক্সাস ও লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের সরকার সামাজিক দূরত্ব রেখে সবাইকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এর ফলে মৃত্যু অনেক কমানো গেছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
Leave a Reply