এখন থেকে সরকারিভাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় ২০০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা নেওয়া হবে।
আর বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত মার্চে বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর বিনা অর্থেই কোভিড-১৯ শনাক্তে আরটিপিসিআর নমুনা পরীক্ষা করছিল সরকার।
কিন্তু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যেই গত ২৬ জুন নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়।
তখন যুক্তি দেখানো হয়েছিল, বিনামূল্যে করা হচ্ছে বলে ‘কোনো উপসর্গ ছাড়াই অধিকাংশ মানুষ’ এ পরীক্ষা করানোর সুযোগ নিচ্ছে।
তবে ফি নির্ধারণের পর মানুষ নমুনা পরীক্ষায় নিরুৎসাহিত হচ্ছে দাবি করে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল বিভিন্ন সংগঠন।
তার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ফি কমানোর সিদ্ধান্ত এল।
ফির কারণে নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহ কমেছে বলে স্বীকার করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “সরকার যে ফিস নির্ধারণ করেছে এ কারণে অনেক দরিদ্র মানুষ পরীক্ষা করাতে পারছে না। তারা কিছুটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবনায় তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।
“এখন থেকে ২০০ টাকা কমিয়ে ১০০ টাকা এবং কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকার পরীক্ষা ৩০০ করার কথা বলেছেন। এখন থেকে আগামীতে এই ফিস হার কার্যকর হবে।”
“এটা দ্রুত কার্যকর হবে। সই হয়ে গেছে, আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে সার্কুলার জারি করে দেওয়া হবে,” বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, এতে নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ বাড়বে।
“আমরা আশা করছি নতুন যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে টেস্টের সংখ্যা বাড়বে। আমরা সব সময়ই চাই টেস্ট বেশি করে হোক। সংক্রমিত ব্যক্তিরা চিহ্নিত হোক। কিন্তু টেস্টের সংখ্যা সেভাবে বাড়ে নাই। কারণ ছিল এই হার। কিন্তু আমাদের যথেষ্ট ল্যাব এবং কিটের সংখ্যা কিন্তু কম না।”
সরকারির পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। তাতে ফি সাড়ে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
দেশে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে পৌনে ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ হাজারের কাছে।
Leave a Reply