শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন
করোনা মহামারিতে (কোভিড-১৯) এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে দুই কোটি ৩০ লাখেরও বেশি আক্রান্ত। মারা গেছে আট লাখ। এই মহামারি বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ এক সংকট তৈরি করেছে। এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন। তাই মানবজাতিকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার বেশকিছু সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হয়েছে।
এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস আশা করছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে করোনা মহামারির ইতি ঘটবে।
এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি শতাব্দীতে একবার এমন স্বাস্থ্য সংকট আসে। তবে তার প্রত্যাশা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে এখন অপেক্ষাকৃত কম সময়ে মহামারি থেকে মুক্তি মিলবে।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের ফলে দ্রুত করোনা ছড়িয়েছে। তবে সবাই একসঙ্গে চেষ্টা করলে দুই বছরের মধ্যে একে সামলে নেওয়া সম্ভব।
প্রসঙ্গত, ১৯১৮ সালের যে ফ্লু সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল সেটা অনেক দিন চলেছিল। কিন্তু এখন আগের চেয়ে উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা থাকায় দ্রুত এ সংকট কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে আশাবাদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ডব্লিউএইচও-এর ইমার্জেন্সি বিষয়ক প্রধান মাইকেল রায়ান বলেন, ১৯১৮ সালের মহামারি তিনটি ঢেউয়ে এসেছিল। দ্বিতীয় দফায় যখন ১৯১৮ সালের শীতে এটি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, সেটা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিল। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে সে রকম কোনও প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে না। ফের করোনা ভাইরাসের ঢেউ আসবে এমন ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যায়নি।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, আরও অনেক মহামারি ভাইরাস শেষ পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট মওসুমে আসে। কিন্তু করোনার গতিপথ এখনও পর্যন্ত সে রকম নয়।
Leave a Reply