বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২০ অপরাহ্ন
‘আমরা মনে করি জন্মদিনের পার্টি করায় কোনো লাভ নেই, এটাই সব থেকে বড় কাজ হবে যদি এতিমদের মুখে কিছু খাবার তুলে দেওয়া যায়, সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতিমদেরকে তার “অত্যন্ত কাছের” এবং “আপনজন” আখ্যায়িত করে তাদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি তোমাদের একটি কথা বলতে চাই, তোমরা অনাথ এবং অসহায় নও, তোমরা আমার অত্যন্ত কাছের এবং আপনজন। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবসময় তোমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং যতদিন আমি বেঁচে আছি ততদিন আমি তোমাদের পাশে আছি।”
তিনি বলেন, “তোমাদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনা করাই আমার সব সময়ের প্রচেষ্টা।”
’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট তার পিতা-মাতা সহ পরিবারের সদস্যদের নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, “স্বাভাবিকভাবেই আমরা এতিমদের বেদনা খুব ভালভাবে অনুভব করতে পারি। কারণ আমরা ১৫ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এতিম হয়েছি। তোমরা একেবারে একা না। আমরা আছি তোমাদের পাশে। আমি এবং আমার ছোট বোন (শেখ রেহনা) সবসময় তোমাদের কথা চিন্তা করি,” বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে মুজিববর্ষ এবং জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দেশের ৮৫টি শিশু পরিবার এবং ছয়টি “শিশু নিবাস” এর শিশুদের দ্বারা ৫০ হাজারবার কোরআন খতম উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে দেয়া ভাষণে একথা বলেন।
সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজসেবা অধিদপ্তর এর উদ্যোগে আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দান করেন।
শেখ হাসিনা এ সময় ’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট শাহাদৎ বরণকারী তার ভাই, সন্তান-সন্তুতি এবং নাতি-নাতনীদের জন্মদিন এতিমদের সাথে নিয়ে উদযাপন করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “আমরা এসব দিনে কোন প্রকার জন্মদিনের পার্টি বা ভোজের আয়োজন করি না বরং তোমাদের মত অনাথদের সাথে নিয়েই পালন করি এবং যা কিছুই আয়োজন থাকে (খাদার-দাবার) তা এতিমখানাতে পাঠিয়ে দেই।”
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি জন্মদিনের পার্টি করায় কোনো লাভ নেই, এটাই সব থেকে বড় কাজ হবে যদি এতিমদের মুখে কিছু খাবার তুলে দেওয়া যায়, সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
তার মাতা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছাও একই কাজ করতেন মর্মে স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাতির পিতার কন্যা বলেন, “মা পরিবারের কারও জন্মদিন হলেই এতিমদের খাবার এবং সাহায্য পাঠাতেন।”
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিএমও সচিব তোফাজ্জ্বল হোসেন মিয়া, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় অন্যানের মধ্যে গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, মূল অনুষ্ঠান স্থলে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব জয়নুল বারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply