বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
সোবহান হোসাইন : বাগেরহাট জেলা সদর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ষাট গম্বুজ মসজিদ হতে প্রায় ২.৫ কি:মি: দক্ষিণ-পূর্বে খানজাহান (রহ:) এর খননকৃত ‘খঞ্জালী বা খানজাহান দিঘি’র উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত তার মাজার শরীফ।
বাগেরহাট জেলা যে কয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে সুপরিচিতি লাভ করেছে হযরত খান জাহান আলী (র:) তাদের মধ্যে অন্যতম। হযরত খানজাহান আলী (র.) (জন্ম ১৩৬৯ – মৃত্যু অক্টোবর ২৫, ১৪৫৯) ছিলেন একজন মুসলিম ধর্ম প্রচারক এবং বাংলাদেশের বাগেরহাটের স্থানীয় শাসক। খাঞ্জেলী দীঘির উত্তর পাড়ে এক উচ্চ ভূমিতে তাঁর সমাধি সৌধ নির্মিত। সমাধি সৌধটি বর্গাকৃতি, এর ছাদে একটি গম্বুজ আছে।সমতল হতে গম্বুজের উপরিভাগ একটি উচ্চ কৃত্রিম ঢিপি উপর দাঁড়িয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে ৬৭.১ মিটার পশ্চিম ও ৬৪.৭ মি. পূর্ব থেকে একটি বাইরের প্রাচীরবেষ্টিত।এটি স্থানীয় লোকদের কাছে খান জাহানের দরগাহ নামে পরিচিত। মাজার ভবনের ভেতরে ধূসর বর্ণের পাথর দ্বারা আবৃত করা রয়েছে হযরত খানজাহান (রহ.) কবর। যার উপরিভাগ অর্ধ-গোলাকার এবং লম্বায় প্রায় ৬ ফুট। ষাট গম্বুজ মসজিদ তৈরিতে যে পাথার ব্যবহার করা তাও একই ধরনের। কথিত আছে যে, হযরত খানজ-ই-জাহান (রহ.) এ সকল পাথর চট্টগ্রাম থেকে আনতেন। মাজার ভবনের দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে দেওয়ালে ৩টি দরজা। বর্তমানে পূর্ব ও পশ্চিমে দরজা দু’টি লোহার গেট দ্বারা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply