বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন
চুলকাঠি ডেস্ক : ঈদ উৎসবকে ঘিরে মোংলার মেরিনড্রাইভ রোডে প্রকৃিত প্রেমীদের উপচে পড়া ভীড় বাড়ছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের দীর্ঘ সময় পর হঠাৎ করেই যেন সুযোগ এলো ঈদ আনন্দের। তাই ঈদের ২য় দিনেও পশুর আর মোংলা নদীর মোহনায় এ পাড় ওপাড় মিলে দীর্ঘ প্রায় ৯ কিলোমিটার নদীর কুল ঘেষা এ সড়কের দু’ধারে হরেক রকম বৃক্ষ আর বণ্যপ্রানীর প্রতিকৃতি দৃষ্টি কাঁড়ে দর্শনার্থীদের। বাড়তি আকর্ষন নদীর তীর ভাঙ্গা ছোট ছোট ঢেড আর পালতুলে ছুটে চলা নৌকা, পশুর নদীর নোনা জলরাশি।মেরিন ড্রাইভ রোড়ের দু’ধারের কাশবন প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে যেন এক ভিন্ন আমেজে রুপ নিয়েছে। দুর হতে সুন্দরবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য, পড়ন্ত বিকালে, সুর্যাস্থ সহ দুষনমুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে শিশু থেকে নানা বয়ষের মানুষ ভীড় করছে নদীর তীরবর্তী মেরিন ড্রাইভের এ সড়কে। ঈদ আনন্দকে ঘিরে এখানে যেন সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না। করোনা ভাইরাস সংক্রমন বলে কিছু আছে এমন প্রশ্ন ছিল না কারো মনে।দক্ষিনাঞ্চলের একমাত্র পর্যটক কেন্দ্র সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র ও হারবাড়িয়া টুরিজম ষ্পট।ঈদের ছুটি বা মৌশুমে এখানে প্রতি বছর দেশী-বিদেশী পর্যটক সুন্দরবনের দৃশ্য দেখার জন্য ভ্রমনে আসে। আর এ পর্যটক খাতে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক লঞ্চ, জালিবোট ও ট্রলারসহ দর্শনার্থীদের বহনকারী অসংখ্য জলযান। এই জলযানের কর্মরত কয়েক হাজার শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘ ৪ মাস রয়েছে বেকার। মহামারি এ ভাইরাসের কারনে সুন্দরবনের পর্যটন স্পট সমূহে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ, একই সঙ্গে স্থানীয় বিনেদন কেন্দ্র গুলো লক ডাউন হওয়ায় পশুর ও মোংলার নদীর র্তীরবর্তী এ মেরিন ড্রাইভ রোডে প্রকৃতি প্রেমিদের দমাতে পারেনি করোনা ভাইরাস। কারো মাস্ক আছে আবার কারো নেই, তাতে কি ঈদ আনন্দে এখানে সামিল হচ্ছে সকল বয়সের মানুষ। তবে মোটরযান সহ বিশৃংখলা বন্ধে রয়েছে পুলিশ সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর বাড়তি নজরদারী।
Leave a Reply