শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
চুলকাঠি অফিস : কোরবানির প্রস্তুতি প্রায় শেষ। অপেক্ষা কেবল রাতটুকু পোহানোর। শনিবার সারাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। দুনিয়ার মুসলমানদের সাথে বাংলাদেশেও সর্বোচ্চ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, যথাযোগ্য মর্যাদা, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ত্যাগের মহিমায় কুরবানীর ঈদ উৎসব পালিত হবে। ঈদের দিন রাজধানীসহ দেশের সকল মুসলমান বিনম্র হৃদয়ে ঈদ-উল-আযহার নামায আদায় করবেন। নামায শেষে মহান রবের উদ্দেশে পশু কুরবানী দিবেন।পারস্পরিকসম্পর্ক উন্নয়ন আর মনের পশুত্ব কে কোরবানি করার মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি হাসিলই কোরবানির একমাত্র লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন ইসলামী চিন্তাবীদগণ। কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য হযরত ইব্রাহিম (আ.) নিজের ছেলে হযরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হযরত ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর সেই ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করে থাকেন। শনিবার সকালে বিভিন্ন বয়সের মানুষ শরিক হবে ঈদের জামাতে। এক কাতারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আদায় করবে ঈদের নামাজ। ভুলে যাবে সব ভেদাভেদ। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের পর কোলাকুলি, শুভেচ্ছা ও সৌহার্দ্য বিনিময় করা নিষেধ। বাড়ি ফিরে মহান আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি এই ঈদের প্রধান কর্তব্য। সামর্থ্যবানরা নিজেদের নামে, প্রিয়জনের নামে পশু কোরবানি দিয়ে আল্লার সন্তুষ্টি আদায়ে সচেষ্ট হবেন। যাদের সামর্থ্য নেই তারাও বাদ যাবেন না ঈদের আনন্দ থেকে। আল্লাহ তাআলা সামর্থবান মুসলমানদের জন্য পশু কোরবানি বাধ্যতামূলক করেছেন। কোরবানির মাংসের তিনভাগের এক ভাগ দরিদ্র মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া ইসলামে সাম্যের বিধান। যার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে সম্প্রীতি। ঈদের পরে আরও দুই দিন, অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজেও পশু কোরবানি করার বিধান আছে। ঈদুল আজহা আমাদের দেশের মানুষের কাছে ‘কোরবানির ঈদ‘ নামেই পরিচিত। কোরবানির পশু কেনা, তার যত্ন-পরিচর্যাতেই ঈদের মূল প্রস্তুতি ও আনন্দ। ইতিমধ্যেই অনেকে পছন্দের কোরবানির পশু কিনে ফেলেছেন। যাদের কেনা বাকি, তারা ছুটছেন এ-হাটে ও-হাটে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে দুর্ভোগ উপেক্ষা করে শহর ছেড়ে সপরিবারে গ্রামে যাত্রা শুরু করেছে অগণিত মানুষ। নগরের বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও লঞ্চঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় এখন শেষ মুহূর্তেও। ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো ঈদের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও এর মাহাত্ম্য তুলে ধরে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রচার করেছে। ঈদের আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
Leave a Reply