বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪০ অপরাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা  উপলক্ষে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক
সংবাদ শিরোনাম :
বাগেরহাটে মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধ, মুসল্লীদের মানববন্ধনে সন্ত্রাসীদের হামলা, আহত-১ মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চয়তায় আরিফা ইসলাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট ও সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য: আল্লামা মামুনুল হক চুলকাটিতে দিনব্যাপী চক্ষু শিবির ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত বিজিবি’র অভিযানে মাদক ও ভারতীয় পন্য আটক বাগেরহাটে বিএনপির কমিটি আওয়ামী লীগ কর্মীদের অর্ন্তভূক্তির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাগেরহাটে সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকারের সহযোগিতায় জমি দখলের চেষ্টা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শীতবস্ত্র বিতরণ ও মেডিকেল ক্যাম্পেইন চুলকাটি টিভি ও নিউজ মিডিয়া © চুলকাটি টিভি ও নিউজ মিডিয়া © চুলকাটি টিভি ও নিউজ মিডিয়া ফকিরহাটের লখপুর এলাকায় তুলা ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড…..বিস্তারিত আসছে…
করোনা ভাইরাস: টিকা তৈরির গবেষণায় বাধা হয়ে উঠছে অনলাইনে নানা গুজব আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব

করোনা ভাইরাস: টিকা তৈরির গবেষণায় বাধা হয়ে উঠছে অনলাইনে নানা গুজব আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, কেবলমাত্র একটি কার্যকর টিকাই পারে এ মহামারিকে সফলভাবে মোকাবিলা করতে।

তাই সারা পৃথিবীতে বিজ্ঞানীরা এখন কাজ করছেন যত দ্রুত সম্ভব একটি টিকা উদ্ভাবনের জন্য। কিন্তু এসব গবেষণায় বাধা হয়ে উঠছে অনলাইনে টিকা নিয়ে নানা রকমের গুজব, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, আর ভুয়া তথ্য প্রচার।

তবে সুখবর হলো, ইতোমধ্যেই অন্তত ১৩০টি করোনাভাইরাসের টিকা‌ তৈরি করেছে বিভিন্ন দেশে একাধিক কোম্পানি ।

এর মধ্যে অন্তত: ৩০টি টিকা মানবদেহের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে এবং হচ্ছে, তার কিছু কিছুতে আশাপ্রদ ফলও পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যে টিকাটি তৈরি করেছেন – তা মানবদেহের ওপর পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটি নিরাপদ এবং কার্যকর – অর্ধাৎ তা মানবদেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এ্যান্টিবডি এবং টি-সেল তৈরি করে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুবই নগণ্য।

এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টিকা তৈরির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

এখন সবাই যে ব্যাপারটির জন্য অপেক্ষা করছেন তা হলো – বড় আকারে হাজার হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করে এসব টিকার কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া।

এর পরই শুধু সম্ভব হবে টিকার বাণিজ্যিক উৎপাদনে শুরু করা।

একটা বড় বাধা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব

কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, বড় আকারে টিকার পরীক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এর ব্যাপারে কিছু মানুষের বৈরি মনোভাব এবং নানা রকম ভুল ধারণা।

ইন্টারনেট এবং সামাজিক মাধ্যমের যুগে এসব ভুল ধারণা বা কুসংস্কার ব্যাপকভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকে।

এদের কেউ কেউ আবার নানা রকম উদ্ভট ষড়যন্ত্র-তত্ত্বে বিশ্বাসী।

‘টিকা আপনার ডিএনএ বদলে দেবে’

ক্যারি ম্যাডেই নামে একজন অস্টিওপ্যাথ একটি ভিডিওতে এক ভুল দাবি করেছেন যে কোভিড-১৯এর এই টিকা যাদের দেয়া হবে তাদের ডিএনএ বদলে যাবে – যেখানে মানবদেহের জেনেটিক তথ্য জমা থাকে।

তার এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এতে ডা. ম্যাডেই টিকা কতটা নিরাপদ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দাবি করছেন যে এতে আমরা “জেনেটিক্যালি মডিফাইড প্রাণীতে পরিণত হবো।

তিনি কোন প্রমাণ ছাড়াই আরো দাবি করেন যে এ্ ভ্যাকসিন মানুষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি ইন্টারফেসের সাথে যুক্ত করে দেবে।

বাস্তবতা হচ্ছে, টিকার কাজ শরীরকে ভাইরাস চিনিয়ে দেয়া এবং তার সাথে লড়াই করতে দেহের রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তোলা।

এর মধ্যে এমন কোন উপাদান বা প্রযুক্তি থাকে না যা মানুষের ডিএনএ বদলে দিতে পারে বা তাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইন্টারফেসের সাথে যুক্ত করে দিতে পারে।

ডা. ক্যারির সাথে বিবিসি যোগাযোগ করলেও তিনি তার দাবি নিয়ে এ পর্যন্ত কোন ব্যাখ্যা দেন নি।

ফেসবুকে বিতর্ক :’আমরা টিকা চাই না’

করোনাভাইরাস ও টিকা নিয়ে ফেসবুকে কিছু গ্রুপে প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে। কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী দাবি করছেন তারা ভ্যাকসিন চান না, কারণ তাদের “গিনিপিগ‌” হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে তাদের ভয় রয়েছে।

টিকা গবেষণার গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এসব পোস্টে বলা হয়, এত দ্রুতগতিতে করা গবেষণায় যে টিকা তৈরি হবে তা কতটা নিরাপদ হবে তা নিয়ে তাদের শংকা আছে।

কিন্তু অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান ড. এ্যান্ড্রু পোলার্ড বলছেন, নিরাপত্তার ব্যাপারে কঠোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সব ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত টিকার পরীক্ষা যাদের ওপর চালানো হয়েছে তাদের কারো ক্ষেত্রেই কোন বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি। ১৬-১৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন তাদের টিকা নেবার পর জ্বর হয়েছে – যা প্যারাসিটামল দিয়ে চিকিৎসা করা যায়।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা গ্রহণকারী প্রথম স্বেচ্ছাসেবক মারা গেছেন বলেও ভুয়া খবর বেরিয়েছিল – যা একেবারেই মিথ্যা। সেই স্বেচ্ছাসেবক পরে বিবিসিকে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন।

স্প্যানিশ ফ্লুর টিকা নিয়ে ভুয়া দাবি

সামাজিক মাধ্যমে একটি মিম বেরোয় যে ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির সময় ৫ কোটি মানুষ টিকার কারণেই মারা গিয়েছিলেন।

কিন্তু এটা একেবারেই মিথ্যা।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ – ২০২৪, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers