চুলকাঠি ডেস্ক : চুলকাঠি প্রেস ক্লাবের প্রয়াত দুই সিনিয়র ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক এসএম আব্দুর রব খোকন ও সাংবাদিক পংকজ কর্মকারের পরিবারের লোকজন কেমন আছে? কিভাবে চলছে তাদের পরিবার-এ খোজ-খবর রাখেনা কেউ। বিভিন্ন সময়ে প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা উক্ত দুই পরিবারের সদস্যদের সাথে হায়-হ্যালো,আর সেখান থেকে শুভ কামনা করে লৌকিকতার মধ্যে শেষ করে মানবিক দায়বদ্ধতা। জানা যায়, দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার সিএন্ডবি বাজার প্রতিনিধি ও চুলকাঠি এলাকার সবচেয়ে সিনিয়র সাংবাদিক পংকজ কর্মকারের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধে মারা যায়। মারা যাবার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে পডুয়া এক ছেলে,স্কুল পডুয়া এক মেয়ে এবং একমাত্র স্ত্রীকে অভিভাবকহীন অবস্থান রেখে যান। অপরদিকে এসএম আব্দুর রব খোকন নামের আরেক সিনিয়র সাংবাদিক ব্রেন ষ্ট্রোকে মারা যান তারও আরও ১০ বছর আগে। মৃত্যুকালে ছোট ছোট দুই মেয়ে,এক ছেলে এবং সদ্য প্রসূত একমাত্র স্ত্রীকে রেখে পরিবারটিকে দিশেহারা অবস্থায় রেখে যান। চুলকাঠি প্রেস ক্লাব গঠনের প্রস্তাবক ও পরামর্শক হিসাবে এসএম আব্দুর রব খোকন চুলকাঠি প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের মনের কুটিরে অবস্থান করছেন। উভয় সাংবাদিকই ছিলেন দুই পরিবারের একমাত্র করে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। নিজস্ব জায়গা-জমি বা সহায় সম্পত্তি বলতে বাডির জায়গাটুকু। তারপরও পরিবারের সদস্যরা ঘাত-প্রতিঘাটের মধ্যদিয়ে দিনাতিপাত করছেন। সাংবাদিক পংকজ কর্মকারের বাডি বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের সি এন্ড বি বাজার এলাকায় আর সাংবাদিক এসএম আব্দুর রব খোকনের বাডি রামপাল উপজেলার উজলকুড় গ্রামে। দুই সাংবাদিক মারা যাবার পর জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে পরিবার দুইটিকে সহযোগিতার একাধিক চেষ্টা করেও কোন ধরণের সুফল মেলেনি। তবে সাংবাদিক পংকজ কর্মকার মারা যাবার পর বাগেরহাট-০২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় পরিবারটিকে এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। বর্তমানে উক্ত পরিবার দুইটির সদস্যদের সাথে কথা বলে বিভিন্ন আর্থিক দুর্দশা সহ বহুবিধ সমস্যার কথা জানতে পারা যায়। চুলকাঠি প্রেস ক্লাবের কর্মরত সাংবাদিকরা পরিবার দুইটির পাশে থেকে মানসিক সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের থাকার আহবান জানান।
![Print Friendly, PDF & Email](https://cdn.printfriendly.com/buttons/printfriendly-pdf-button-nobg-md.png)
Leave a Reply