বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ফকিরহাটে শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামী কবিরাজ গ্রেপ্তার চুলকাটিতে ভোগ দখলীয় জমি হতে জোরপূর্বক গাছ কর্তন মামলা দায়ের ফকিরহাটে দুটি ক্লিনিকে ১লাখ ৪০হাজার টাকা জরিমানা বাগেরহাটে যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত মোংলা বন্দর দিয়ে বাড়ছে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বাগেরহাটে র‌্যালী ও আলোচনা সভা রামপালে মৎস্যঘের দখল করে লুটপাটের অভিযোগ রামপালে ভয়াবহ  অগ্নিকান্ডে ২ কোটি টাকার ক্ষতি  ফায়ারসার্বিসের ৩ কর্মী  আহত রামপালে জমির বিরোধে হামলায় আহত-৫ আটক-২ মোংলায় বাপা’র মানববন্ধনে বক্তারা সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে হবে
চুলকাঠি কামার পট্টিতে ক্রেতা সংকট, শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

চুলকাঠি কামার পট্টিতে ক্রেতা সংকট, শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

চুলকাঠি ডেস্ক : এক সপ্তাহ পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ পশু কোরবানি। আর তার জন্য প্রয়োজনীয় দা, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন যন্ত্রের চাহিদাও বাড়ে কয়েকগুণ। সেই চাহিদার জোগান দিতেই বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি  বাজার কামার পট্টি এখন মুখর টুং টাং শব্দে। এই এক মৌসুমের আয়ই যে তাদের সারাবছরের ভরসা! কিন্তু ঈদের মাত্র বাকি এক সপ্তাহ থাকলেও দোকানে নেই ক্রেতাদের ভিড়। সারি সারি ছুরি, চাকু, চাপাতি বিছিয়ে রাখলেও ক্রেতার আনাগোনা না থাকায় এখন শঙ্কার ভাঁজ পড়েছে সারাবছর আগুনের উত্তাপ গায়ে জড়িয়ে লোহা পিটিয়ে যন্ত্রে পরিণত করা মানুষের কপালে। কেউ ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন দগদগে লাল লোহার শিখা, আবার কেউ শান দিচ্ছেন ছুরি কিংবা বঁটি, কেউবা আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন। এরই মধ্যে চলছে বিক্রির ও অর্ডারের কাজ। কামারদের এই কাজ মাত্র বছরে একবার প্রায় মানুষের কাজে লাগে। প্রতি বছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকেন কামার শিল্পীরা।কোরবানি ঈদের ২০-১৫ দিন আগ থেকেই বেচা-কেনার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কামারেরা। চুলকাঠি ও তার আশেপাশের  কুরবানি দাতারা আসেন কামারদের কাছে। করোনার পরিস্থিতির কারণে আগের সেই আমেজ আর নেই তাদেরও। বিগত বছরের তুলনায় কাজ কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চুলকাঠির বিভিন্ন কামারের দোকানে অন্যান্য বছরের তুলনায় কাজ কম থাকলেও মোটামোটি সবাই কম বেশি কাজে ব্যস্ত আছে।কামার কুমারেশ কর্মকার  বলেন, অন্যান্য বছরে যে অর্ডার পেতাম তা একবারেই নেই। সারাদিনে ১০ থেকে ১৫ টা দা-বটিও বিক্রি হয় না।সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাধারণত বঁটি, দা, বিভিন্ন ধরনের ছুরি, কাবাব ছুরি, জবাই ছুরি তৈরি করেন তারা। এছাড়া শান দেওয়ার জন্য এক ধরনের লোহার স্টিকও বিক্রি করে। প্রকারভেদে বটির দাম তিনশ’ থেকে আটশ, গরু জবাইয়ের ছুরি ২শ’ থেকে পাচশ’ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া অন্যান্য ছুরি দুইশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকায় বিক্রি করা হয়।রাখালগাছি এলাকার এক কামারের দোকানে আসা ক্রেতা বলেন, অন্যান্য বছর আমাদের ঘরের যে ছুরি, দা, বটি, জবাই ছুরিসহ সব মিলিয়ে আমার আসতো ১৫শ’ টাকা। এ বছর করোনার প্রভাবে আমি তা দিলাম মাত্র ৮৫০টাকায়, তাও আমার কোন দর-দাম ছাড়াই।কামার সাধন কর্মকার  বলেন, কাজ-রুজি নাই বললেই চলে। বাপ-দাদার পেশা হিসেবে লোহা পেটানোর কাজ করে আসছি। বৃদ্ধ বয়সেও কাজ করে যাচ্ছি। তবে আমার সন্তানদের কেউ এ পেশায় আসেনি এবং তাদের আসতেও বলিনি।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০২০২১, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers