শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
চুলকাঠি ডেস্ক : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা লখপুর ইউনিয়ন জাড়িয়া-কাহারডাঙ্গা এলাকায় গৃহবধূ শাহিনুর বেগম (১৯) এর রহস্যজনক মৃত্যু হয় তার স্বামীর বাড়িতেই।স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বুধবার (১৫ জুলাই) আনুমানিক বিকাল ৩ টার দিকে কাহারডাঙ্গা গ্রামের মৃতঃ ছালাম শেখের ছেলে মোঃ আজাত এর স্ত্রী শাহিনুর বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় সংবাদ দেয়। পরবর্তীতে ফকিরহাট মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলাম ও তার সংগীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করে লাশ ফকিরহাট মডেল থানায় নিয়ে যান।এ ব্যাপারে ফকিরহাট থানার ওসি (তদন্ত) নাজমুল হাসান এর সাথে কথা হলে তিনি গনমাধ্যমকে জানান, এলাকাবাসীর ধারণা গৃহবধূর স্বামী মোঃ আজাত তাকে মেরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে লাশ ওড়না দিয়ে বসতঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখতে পারে। তিনি আরো বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আনা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে ।ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।নিহত শাহিনুর বেগম( ১৯) দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামের রশিদ মোড়লের মেয়ে।পরবর্তীতে বৃহঃবার (২৩জুলাই) দুপুরে নিহতের পরিবার ফকিরহাট মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করেন।তবে এই চাঞ্চল্যকর আত্মহত্যার জট খুলতে চলেছে মৃতঃ শাহিনুর বেগমের মায়ের বক্তব্যে।তিনি সাংবাদিকদের বলেন,আমার মেয়ের পেটে একটি বাচ্চা ছিল যা আজাত ও তার পরিবার জোর পূর্বক নষ্ট করে দেয়।যৌতুক হিসাবে আমরা বিয়ের সমিয় ৫০,০০০ টাকা ও বিয়ের পর ১ লক্ষ টাকা যৌতুক দিই আজাতকে।কিন্তু তাতেও তার মন ভরেনি প্রায় আমার মেয়ে বাড়িতে এসে আমাকে বলতো “মা তোমার জামাই এক লক্ষ টাকা চেয়েছে” কিন্তু আমি দিতে পারিনি।এক পর্যায়ে গত বুধবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১ টার পর ও বেলা ১২ টার আগে মেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলে “তোমার জামাই আমাকে গালিগালাজ করে”। আমি তখন মেয়েকে বুঝিয়ে ভাল ভাবে থাকতে বলি।পরে ফোন রেখে দিই আমি। কিন্তু তার কয়েক ঘন্টার ভিতর দুপুর ৩ টার দিকে জানতে পারি আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ে কখনো আত্মহত্যা করতে পারেনা।আমার মেয়েকে প্রায়শ এই আজাত অত্যচার করতো। ও আমার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে।অনেকেই দেখেছে ওড়নার গিট যেভাবে দেওয়া সেটা কোন মহিলা মানুষের পক্ষে দেওয়া সম্ভব না।কেননা এই গিট দেওয়া এটতা সহজ না।আর এতেই বোঝা যায় আমার মেয়েকে হত্য করা হয়েছে।আমি আমার মেয়ের খুনীর ফাসি চাই। এভাবেই কান্না জড়িত কন্ঠে এক সন্তান হারা মা তার মেয়ের স্বল্প সংসার জীবনের কষ্টের বর্ণনা করেন।এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।ফকিরহাট মডেল থানার ওসি তদন্ত নাজমুল ইসলাম বলেন তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply