সোবহান হোসাইন (দৈনিক জন্মভূমি) : খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডে নিয়মিত হাট-বাজার বসছে। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অতীতে এসব স্থানে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে।এ ছাড়া এসব হাট-বাজার ইজারা দিয়ে সরকারিভাবে রাজস্ব আয় হয়। তবু হাট-বাজারগুলো স্থানান্তরের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই।জানা যায়, খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশে অন্তত ২৫টি স্থানে ছোট-বড় বাসস্ট্যান্ড আছে। এগুলোর মধ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডে সাপ্তাহিক হাট-বাজার বসে।চুলকাঠি, ভাগা, গোনাবেলাই ও দিগরাজ বাসস্ট্যান্ডে বসে সাপ্তাহিক হাট। এর মধ্যে গোনাবেলাই, ভাগা ও দিগরাজে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসলেও চুলকাঠিতে বাজার বসে তিন দিন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশেই বেচাকেনায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। ফলে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, যাত্রীবাহী বাস, পিকআপ, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছে না। পথচারীরা হাঁটতে পারছে না।মোংলা বন্দরের ব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই মহাসড়কে যানবাহনের চলাচল গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মোংলা থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য দেশের প্রায় সব জেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা আছে। এ কারণে ওই সড়কের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে বহুগুণ। কিন্তু সড়কের পাশ থেকে ওই সব হাট-বাজার নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বাগেরহাট সদর, রামপাল ও মোংলা পৌরসভার আওতায় এসব হাট-বাজার ইজারা দিয়ে সরকারিভাবে রাজস্ব আয় হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, জনস্বার্থে হাট-বাজারগুলো সড়কের পাশে বসতে দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন হলে বাজারগুলো স্থানান্তর করে বিকল্প স্থানে বসতে সহায়তা করা হবে।
Leave a Reply