মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
চুলকাঠি ডেস্ক : মাদক সেবক বা ব্যবসাকে এড়িয়ে চলতে বাগেরহাট থানা পুলিশ সামাজিক প্রচার কার্যক্রম চলছে। “মাদককে না বলুন ” এই শ্লোগানকে গতিশীল বা কার্যকরী করতে বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ সামাজিক মাধ্যম ( ফেসবুক) এ নিম্নোক্ত তথ্যাদি প্রচার করছেন।
মদক সেবন বা ব্যবসা সামাজিক ক্ষতিঃ মাদক সেবন করলে অথবা ব্যবসা করলে, সমাজে তাকে হেয় হতে হয়। তাহাকে কেহ ভালো জানে না অথবা মনে মনে সবাই তাহাকে ঘৃণা করে । মাদক সেবন ও ব্যবসার ফলের সমাজের ক্ষতি সাধিত হয়।
মাদক সেবনে আর্থিক ক্ষতিঃ মাদকসেবনকারী নিজেদের আর্থিক অবস্থাকে ধ্বংস করে। এমনকি নেশার টাকার জন্য চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা পর্যন্ত করে। যাহা ফৌজদারি অপরাধ, ফলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি পেতে হয়। মাদক সেবন ধর্মীয় দিক দিয়ে ক্ষতিঃজানা মতে
মাদক সেবন কোন ধর্মে সাপোর্ট করে না। মাদকসেবন পাপের কাজ। পরোকালে ধর্মীয় দিক দিয়া শাস্তির আওতায় আসতে হবে।
মাদক সেবনে শারীরিক ক্ষতিঃ মাদক সেবনে শারীরিক ক্ষতি সাধিত হয়।মাদক সেবনে শরীরের বিভিন্ন অর্গানসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ লেগে থাকে,ফলে অক্ষম ব্যক্তিতে পরিণত হয়।
মাদক সেবন অথবা ব্যবসা ফৌজদারি অপরাধঃ মাদক সেবন অথবা ব্যবসা করা হলো ফৌজদারি অপরাধ। মাদক সেবন অথবা মাদক ব্যবসা করলে একদিন না একদিন অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তিনি আটক হবেন। মাদক সরাসরি সেবনকালে বা মাদক ব্যবসায়ী, ব্যবসা করা কালে কেহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরা খেলে, তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আসতে হয়।পাশাপাশি মামলার বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে, অনেক সময় থানা থেকে পাসপোর্ট অথবা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায় না।
মাদক সেবনকারী অথবা ব্যবসায়ীর সরকারি বেসরকারি চাকুরি পাওয়া কষ্টকরঃ বর্তমানে সরকারি অনেক চাকুরির নিয়োগের ক্ষেত্রে ড্রফ টেস্ট করা হয়। ভবিষ্যতে আরো বেশি পরিমাণ চাকুরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ড্রফ টেস্ট করার সমূহ সম্ভাবনা রহিয়াছে । ডোপ টেস্ট পজিটিভ আসলে সাধারণত চাকুরি হয় না। এছাড়া মাদক সেবন কালে অথবা মাদক ব্যবসা করা কালে তাহার নামে কোনো ফৌজদারি মামলা হলে সাধারণত তাহার চাকুরি হয় না।
মাদক সেবন করা আত্মহত্যার কাছাকাছি অপরাধঃ কোন ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে সে দোযখে যাবে অথবা নরকে যাবে। মাদক সেবনের মাধ্যমে নিজেকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে এক সময় মারা গেলে, সেকাজটাও অনেকটা আত্মহত্যার কাছাকাছি অপরাধ।
কোন পরিবারে অথবা সমাজে একজন মাদক সেবনকারী অথবা ব্যবসায়ী থাকিলে সেই পরিবারের অথবা সমাজের শান্তি অনেকটা নষ্ট হয়।
মাদক সেবনকারী অথবা ব্যবসায়ী ছেলে মেয়ের সাথে, ভালো কোন ছেলে মেয়ের বিবাহ হলে, সেই পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকে।
ছাত্র বয়সে মাদক সেবন বা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়লে তাহার সাধারণত পড়ালেখা হয় না।
বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি জনাব ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) মহোদয়, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন।
যেকোনো স্থানে মাদক সরাসরি সেবনকালে অথবা মাদক ব্যবসা চলাকালে নিকটবর্তী থানা পুলিশ, (RAB) মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর ইত্যাদি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করুন।
আমরা মাদক সেবন ও ব্যবসা থেকে বিরত থাকি। নিজে, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ভালো রাখি।
পাশাপাশি বর্তমানে করোনা ভাইরাস এর আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। করোনা ভাইরাস এর মহামারী কালে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি বিধি বিধান মেনে চলি। নিজে ভালো থাকি, সমাজ ও দেশকে ভাল/ সুস্থ্য রাখি।
Leave a Reply