কেউ বলে ডুবি, কেউবা কানাইজু, যে নামেই ডাকা হোক না কেন টক মিষ্টি লটকনের আদিনিবাস দক্ষিণ এশিয়া। বর্তমানে উৎপাদনের শীর্ষে কোস্টারিকা, ব্রাজিল, মালয়েসিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত। আর বাংলাদেশের গাজীপুর, নরসিংদী, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ী এলাকায় উৎপাদন হচ্ছে বিস্তর পরিসরে।
ভিটামিন সি তে ভরপুর হলুদ রঙের টক ফলটি খোসা ছাড়িয়ে কোয়া হিসেবে সরাসরি খাওয়া যায়। আর আচার, ভর্তা অথবা জুস হিসেবেও ভোক্তার পাতে আনে নতুন স্বাদ।
গবেষণা বলছে, বিটা ক্যারোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ফোলেট ও অ্যাসকরবিক এসিডের মত ভিটামিন মেলে লটকনে।
আর পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্রমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রনের মত খনিজ উপাদান ছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ওফাইবারের মত উপাদান মেলে ফলটিতে।
লটকনের রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম দেহ বৃদ্ধিতে কাজ করে। আর তৃষ্ণা মেটাতে, মানসিক চাপ কমাতে আর মুখের রুচি বাড়াতেও বেশ উপকারী। ঔষধিগুনে ভরপুর ফলটির বীজ গনরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবে আর পাতা ডায়রিয়া দূরীকরণে কায্যকরী।
তবে অ্যাসিডির সমস্যায় পরিমিত পরিমাণে ফলটি খাবার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের।
Leave a Reply