শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন
চুলকাঠি ডেস্ক :চুলকাঠি বাজারে সুপেয় পানির বড় অভাব,মসজিদের টিউবওয়েলই একমাত্র ভরসা বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি বাজারে সুপেয় পানির বড় অভাব।মসজিদের সামনের ডিপ টিউবওয়েলই বাজার দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের একমাত্র ভরসা।অধিকাংশ চা বা খবারের দোকানে স্যালো টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করা হয় বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি বাজারের ব্যসায়িক গুরুত্বের কারনে বাজারটি একটি বড় ব্যবসা কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।খুলনা- মংলা মহাসড়ক সংলগ্ন এতো বড় বাজার আর নেই। বাজারে দোকানের সংখ্যা প্রায় সাত শতাধিক।এর মধ্যে চা, মিষ্টি, বেকারী, খাবারের দোকান ও হোটেলের সংখ্যা প্রায় শতখানেক।এতোগুলি দোকানে কেনা-বেচার জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের সমাগম ঘটে এই বাজারে।কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, এতো বড় বাজারে সুপেয় খাবার পানির বড় অভাব।মিষ্টি বা খাবারের দোকানের সাথে কারো কারো স্যালো টিউবওয়েল থাকলেও সমস্ত বাজারে একটি মাত্র ডিপ টিউবওয়েল কার্যকরী রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অবস্থা চলে আসলেও নেই চেয়ারম্যান-মেম্বরদের মাথা এই ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা।অবশ্যই ইউপি মেম্বরদের মাথা ব্যাথা থাকা আর না থাকা সমান।কেননা সরকারীভাবে বরাদ্ধৃত টিউবওয়েল চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বন্টন হয়।খোজ নিয়ে জানা যায়, চুলকাঠি মসজিদের পিছনে একটি ডিপ টিউবওয়েল ছিল, যা বর্তমানে নষ্ট।দক্ষিন পাশে টয়লেটের সাথে আরও একটি ডিপ টিউবওয়েল থাকলেও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে সেটিও নষ্ট হয়ে গেছে। চুলকাঠি বাজার ও চুলকাঠি মসজিদটি খানপুর ইউনিয়নের ভিতর হওয়া সত্ত্বেও রাখালগাছি ইউপি চেয়ারম্যানের বদন্যতায় মসজিদের সামনে ডিপ টিউবওয়েলটি বসানো হয়। এটিই এখন বাজারের একমাত্র কার্যকরী ডিপ টিউবওয়েল। বাজারের বিভিন্ন দোকানে ভ্যান যোগে পানি সরবরাহ করা হয়।কিন্তু এ পানি কোথা থেকে আসে দোকানীরা তাও জানে না।বাজারের কাঠ গোলার পাশে একটি স্যালো টিউবওয়েলে পানি সরবরাহকারীদের বিভিন্ন সময় পানি ভরতে দেখা যায়।বর্তমান সময়েও বাজারবাসীদের জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে স্যালো পানি খেতে বাধ্য হতে হয়।কোন কোন ব্যবসায়ী নিজের জন্য বাড়ি থেকে সুপেয় পানি বহন করে আনলেও তাদের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চেয়ারম্যানরা এখন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়নি। তাই জনগন ও বাজারের দোকানদারদের কদর তাদের কাছে নেই। তাছাড়া ডিপ টিউবওয়েল আসলে আগে থেকে টাকা-পয়সার বিনিময়ে ভাগ বাটোয়ারা হয়ে যায়।চুলকাঠি বাজারের ইজারা ডাকের মুল্যও উল্লেখযোগ্য। এর একাংশ বাজার উন্নয়নে ইউনিওয়ন পরিষদে জমা হয়।এলাকাবাসী ও দোকানদারদের দাবি, বাজারে আরও ২/৩ টি ডিপ টিউবওয়েল বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করলে বাজারের সুপেয় পানির অভাব অনেকাংশে দুর হবে
Leave a Reply