বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
চুলকাঠি ডেস্ক : চুলকাঠি বাজার বাগেরহাট সদর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বড় ব্যবসায়ী মোকাম। খুলনা-মংলা মহাসড়কের পাশেই অবস্থানের কারণে বাজারটির গুরুত্বও আরও বেড়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলে রূপসার এ পাশে ব্যবসায়ীর গুরুত্ব বিবেচনায় এ বাজার ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের কাছে একটি বড় বাজার হিসাবে পরিচিত। ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাবনা, রাজশাহী, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীর কারণে এখানে লোক সমাগম ঘটে। রড, সিমেন্ট, কাঠ, দুধ, মাছ ও কাঁচা তরকারী এ বাজারের বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। তাই জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বাজারের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিয়ে ভেবে থাকেন। বাজারের উন্নয়নও চলছে ধারাবাহিকভাবে। বাজারের নিরাপত্তায় সরকারীভাবে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৩/৪ বছর আগে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে বাজারের নিরাপত্তায় ১০ থেকে ১২ টি এলইডি বাল্ব দেওয়া হয়। যাতে রাতে বাজারে অন্ধকার প্রভাব ফেলতে না পারে। প্রায় বছর খানেক আগে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে একই উদ্দেশ্যে ৯ টি সোলার বাল্ব দেওয়া হয়েছে। বাজারের নিরাপত্তা বিবেচনায় উপজেলা পরিষদ বাজারে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়। বাজার কমিটি উপজেলা পরিষদের বরাদ্ধকৃত অর্থের সাথে অতিরিক্ত নিজস্ব অর্থায়নে বাজারে ১৬ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সমস্ত বাজারটিকে সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছে।রাতে বাজারের পাহারা বাড়ানো হয়েছে। দোকান মালিকদের পাহারার আওতায় আনা হয়েছে। বাজারের নিরাপত্তা ও চুরি রোধে এতোসব উদ্যোগ নেবার পরও থেমে নেই চুরি। চলতে চলতে হঠাৎ করে মাঝে মাঝে ২/১ টি চুরি যেন বাজার কমিটি ও প্রশাসনকে বিব্রত করে দিচ্ছে।খোজ-খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ থেকে বাজার ও আশে পাশে এলাকায় যতগুলি এলইডি বাল্ব বসানো হয়েছিল। সবগুলি অকেজো হয়ে পড়েছে। বাল্বগুলি স্থাপনের পর থেকে কোন ধরণের নজরদারি ছিল না। এমনকি বাল্বগুলি নষ্ট হবার পর বাজার কমিটিও বাল্বগুলি পরিবর্তন করেনি। একটি একটি করে এখন বাজারে সব এলইডি বাল্বগুলি নষ্ট হয়ে গেছে। বাজার কমিটির সদিচ্ছায় বাল্বগুলি পরিবর্তন করে দিলে বাজারের অন্ধকারাচ্ছন্ন দুর হয়ে যাবে। আর এ বাল্গাুলির দামও খুব বেশি নয়। ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। বাজার কমিটির সভাপতি মুরারী কৃষ্ণ নন্দী জানান, এলইডি বাল্বগুলি ব্যবহারযোগ্য করতে তিনি বাজার কমিটির সাথে কথা বলবেন। বাজারে সোলার বাল্বের সংখ্যা ৯টি। এতোবড় বাজারে ৯ টি সোলার বাল্ব জ্বললেও বাজারের বিভিন্ন অংশ সন্ধ্যার পর অন্ধকারে থাকে। বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মো: মনিরুজ্জামান ফকির জানান, বাগেরহাট ০২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় বাজারের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য একাধিকবার বাজার কমিটির সাথে বৈঠক করে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বাজারের উন্নয়ন ও নিরাপত্তার বিষয়ে সব সময় খোজ খবর নিয়ে থাকেন। উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে পাওয়া সোলার বাল্বগুলির সাথে এলইডি বাল্বগুলি জ্বালানো হলে বাজারের অন্ধকার অনেকাংশ দূর হয়ে যাবে। তিনি এ ব্যাপারে বাজার কমিটির সভায় এলইডি বাল্বগুলি পরিবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানান। বাজার কমিটির সদস্য ডা: দিলিপ দেবনাথ জানান, আগে যেখানে ৫/৭ জনে বাজার ডিউটি দিতো, সেখানে ১৪/১৫ জনে এখন বাজার ডিউটি দিচ্ছে। বাজার ডিউটিতে দোকান মালিকরা যুক্ত রয়েছে। এ কথায় যার দোকান সেই পাহারা দিচ্ছে। এসব কিছুর মধ্যে বিচিচ্ছন্নভাবে ২/১ টি চুরি বাজার কমিটিকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। সিসি ক্যমেরার মাধমে চুরি রোধে অনেকটা ভুমিকা রাখছে বলে তিনি মনে করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন জানান, বাগেরহাট ০২ আসনের সংসদ সদস্য বাগেরহাটের উন্নয়নে একের পর এক বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক, ব্যতিক্রমী ও মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন। তার আন্তরিকতায় সমস্ত বাগেরহাটের সব ধরনের সমস্যার সমাধান হবে বলে তার প্রত্যাশা।
Leave a Reply