শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
চুলকাঠি ডেস্ক : প্রত্যেক ভাষার নিজস্ব রূপ আছে, যে রূপ বা বৈশিষ্টের ভিত্তিতে ভাষার প্রকাশ করা হয়। মানুষ তার নিজস্ব ঢং এ প্রতিনিয়ত কথা বলছে তাই এর প্রকাশ ভঙ্গি যে সর্বত্র এক রকম ভাবে ধরা দেবে এমনটি অসম্ভব। ফলে ভাষাতান্ত্রিকগণ ভাষার এ ভিন্ন রূপ বিচার করে কয়েকঠি ভাগে ভাগ করেছেন।
১। লৈখিক ভাষা : যে ভাষার লেখার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেই ভাষায় লৈখিক ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লেখার বিচারে এই ভাষাকে
আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় :
ক) সাধু ভাষা(সর্বজন স্বীকৃত লেখ্য রূপ): যদি প্রতি মনুষ্য-মুখে সরলতা দেখিতাম, তখন আনন্দ পাইতাম।
খ) চলিত রূপ(সর্বজন স্বীকৃত আদর্শ রূপ): যদি তার মুখে সরলতা দেখতাম, আমি আনন্দ পেতাম।
২। মৌখিক ভাষা : সকলের মুখে মুখে প্রচলিত ভাষাকে বলা হয় মৌখিক ভাষা। বাংলা ভাষায় এর সংখ্যা অজস্র। কারণ এলাকা
ভিত্তিক মানুষের উচ্চারিত ভাষায় যে পার্থক্য তা এই ভাষার অন্তর্র্ভক্ত। অঞ্চল ভিত্তিক ভিন্নতার জন্য এর নাম আঞ্চলিক ভাষা বা
উপভাষা। যেমনঃ নোয়াখালি- একজন মাইন্সের দুগা হোলা আছিল্।
সাধুভাষা ও চলিত ভাষার ব্যবহারিক পার্থক্যের কারণে এদেও ভেতর কতিপয় বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়ঃ
সাধু রীতিঃ ১। ব্যাকরণ নিয়ম অনুসৃত।
২। পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
৩। সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের বিশেষ গঠন।
৪। গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দের ব্যবহার বেশি।
৫। নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য অপ্রয়োজনীয়।
চলিত রীতিঃ ১। শিষ্ট ও ভদ্রজনের কথিত রূপ।
২। তদ্ভব শব্দবহুল ও পরিবর্তনশীল।
৩। সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের সহজ ও পরিবর্তত রূপ ব্যবহৃত হয়।
৪। নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য ব্যবহার্য।
৫। বিশেষ্য ও বিশেষণের ক্ষেত্রেও পরিবর্তিত রূপ ব্যবহৃত হয়।
পরিচালনায় :রাহুল বণিক বিবিএ(সম্মান) এমবিএ(হিসাববিজ্ঞান)
Leave a Reply