বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
চুক্তির মাধ্যমে রপ্তানির সুযোগ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টরিং কোম্পানি, বিদেশি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যে অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান ও বীমা কোম্পানির মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা সাপেক্ষে বাকিতে পণ্য রপ্তানি করা যাবে।এ প্রক্রিয়ায় রপ্তানির ক্ষেত্রে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পণ্যমূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে এসব প্রতিষ্ঠান রপ্তানি মূল্য পরিশোধ করবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে।
ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ (Banking News Bangladesh. A Platform for Bankers Community.) প্রিয় পাঠকঃ ব্যাংকিং বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।এ বিষয়ে নিটওয়্যার রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মো. হাতেম বলেন, এতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হবেন। ক্রেতাকে এলসি বাবদ ব্যাংকে আগাম টাকা জমা দিতে হবে না। আবার বিক্রেতাকে পণ্যমূল্য পেতে দেরি করতে হবে না। পণ্য জাহাজীকরণের পরই মূল্য পাওয়া যাবে। অনেক ক্ষেত্রে বন্দরে পণ্য রেখে ক্রেতাদের ডিসকাউন্ট চাওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে।সাধারণত ঋণপত্র বা এলসির মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক ক্রেতার থেকে মূল্য সংগ্রহ করে বিক্রেতাকে এনে দেয়। এতে ৩০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। অন্যদিকে চুক্তিতে পণ্য আদান-প্রদানের বিষয়টি বিশ্ববাণিজ্যে নতুন নিয়ম। এক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা নিজেরাই চুক্তি করে। তৃতীয় পক্ষ কমিশন নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাকে পণ্য ও পণ্যমূল্য বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়। এ ব্যবস্থায় বিক্রেতা তুলনামূলক আগাম পণ্যমূল্য পেয়ে থাকেন।বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরাও ঋণপত্র ছাড়া চুক্তির আওতায় বাকিতে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের পরে এ কার্যক্রম আরও ঝুঁকিমুক্তভাবে করতে পারবেন রপ্তানিকারকরা।
Leave a Reply