মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
দু’হাজার এক সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছিল এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা।সেদিন আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা চারটি বিমান ছিনতাই করে। দুটি বিমান দিয়ে আঘাত করা হয় নিউইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ারে, একটি আঘাত করে ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে, আরেকটি বিধ্বস্ত হয় একটি মাঠে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত সবচেয়ে বড় এই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় প্রায় ৩ হাজার লোক।ভয়াবহ এই হামলা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। ঘটনাটি ছিল যেন অকল্পনীয়, এবং কী করে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন একটা আক্রমণ ঘটে যেতে পারলো – কেউই যেন তা ভাবতে পারছিলেন না।কিন্তু বাস্তবতা হলো, কেউ কেউ এ হামলার কথা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন।
অনেক আগেই সতর্ক করা হয়েছিল: ‘বড় মাপের আক্রমণ‘ হতে যাচ্ছে
তার অনেক আগে থেকেই পুরো বছর জুড়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে বার বার সতর্ক করে দেয়া হচ্ছিল যে আমেরিকায় যে কোন মুহূর্তে একটা সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে।সিআইএ, এফবিআই, মার্কিন কংগ্রেস কমিশন – সবাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল। এমনকি এমন সতর্কবাণীও দেয়া হয়েছিল যে উড়ন্ত বিমান দিয়ে উঁচু ভবনে আঘাত করা হতে পারে।কংগ্রেসের কমিশন বার বার সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করছিল যেন তারা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়। ওই কমিশনের তখনকার প্রধান ছিলেন সিনেটর হ্যারি হার্ট।বিবিসির লুইস হিদালগোকে সেই কাহিনি বলেছেন মি. হার্ট।২০০১ সালের গ্রীষ্মকাল জুড়েই আসছিল সেই সব সতর্কবাণী। একটি বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে, এবং সে আক্রমণ ঘটতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই।”আমার মনে হয় না আমি বা অন্য কেউ এটা চিহ্নিত করতে পেরেছিলাম যে কোন দিক থেকে আক্রমণটা আসতে পারে, কিন্তু আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলাম যে আমাদের ওপর কোন একটা হামলা হতে যাচ্ছে এবং তা বেশ শিগগীরই হতে যাচ্ছে।”
Leave a Reply