শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
শীর্ষ নিউজ : গালওয়ান উপত্যাকায় ভারতীয় ভূখণ্ডের ৯ কিলোমিটার এলাকা দখল করে নতুন করে আরও ১৬ সেনা শিবির বানিয়েছে চীন। তবে সীমান্তে সব রকমের পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৪৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। পাশাপাশি টি-৯০ ট্যাংক, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে।রোববার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির হাতে থাকা স্যাটেলাইট ছবিতে চীনা নতুন সেনা শিবিরগুলো দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।গণমাধ্যমটির সংবাদে বলা হয়েছে, ২২-২৬ জুনের ছবি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গালওয়ানে ১৫ জুন সংঘর্ষের স্থানে অবকাঠামো তৈরি করেছে চীন। বলা হচ্ছে, ১৪ নম্বর টহল পয়েন্টটি ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু সেই স্থানে একের একের পর অবকাঠামো তৈরি করে সেনা বাড়াচ্ছে বেইজিং।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দাদের দাবি, গালোয়ান নদী বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে প্রায় ১৩৭ মিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে চীন। বলা হচ্ছে ওই এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে টহল দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কালো ত্রিপলের ছবি সম্প্রতি ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। সেই ত্রিপল চীনা বাহিনীর; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই সম্ভাবনায় জোর দেয়া হয়েছে। এনডিটিভির হাতেও এসেছে সেই চিত্র। বলা হচ্ছে, সেই সেক্টরে ৯ কিমির মধ্যে প্রায় ১৬টি শিবির চিহ্নিত করেছে স্যাটেলাইট ছবি। সামরিক স্তরের আলোচনায় চীন বাহিনী সরানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও, সেটা খাতায়-কলমে। শুধু তাই নয় প্রকৃত সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এলাকায় ব্যাপক সামরিক সম্ভার বাড়াচ্ছে বেজিং।এদিকে কলকাতার প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে সব রকম খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেখানে ৪৫ হাজার সেনা, টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক, ভূমি থেকে আকাশমুখী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি এয়ার সার্ভেল্যান্স সিস্টেমও বসানো হয়েছে।সংবাদ মাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক শিবির প্রশ্ন তুলছে, চীনা সেনা যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ১৮ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে তাঁবু গেড়ে রয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানোর কোনো উপায় কি আদৌ রয়েছে? সেটা না থাকলে সেনা-প্রস্তুতির ফিরিস্তি দিয়ে অতি-জাতীয়তাবাদী দেখানোর অর্থ কী?বিরোধীদের মতে, ভারত এখন যে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে, তার লক্ষ্য মূলত হল, চীন যাতে নতুন করে আর জমি দখল করতে না পারে। ফিঙ্গার চার থেকে আট এবং গালওয়ান উপত্যকার মতো এলাকা যাতে হাতছাড়া না হয়। কিন্তু গালওয়ানে দখল হওয়া কয়েকশ বর্গ কিলোমিটার জমির কী হবে?
Leave a Reply