বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
দর্পণ ডেস্কঃ পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী (১২) ফিরোজ মোল্লা (৫০) নামে প্রতিবেশী এক লম্পট কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এতে ওই স্কুলছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পুলিশ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ভূক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক ফিরোজ মোল্লাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ মোল্লা শ্বশুর বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রতিবেশী দরিদ্র কাঠমিস্ত্রির মেয়ে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মেয়েটিকে সে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখায় যাতে সে ঘটনা কাউকে না বলে। ঘটনার চার মাস পর মেয়েটির পরিবার মেয়েটির স্বাস্থ্যগত পরিবর্তন লক্ষ করলে ঘটনা পরিবারে জানাজানি হয়। এরপর সোহেব হাওলাদার নামে এক প্রভাবশালীর মাধ্যমে ধর্ষক ফিরোজ মোল্লা বিষয়টি সামাজিক ফয়সালার নামে ধামাচাপা দেওয়া অপচেষ্টা চালাচ্ছিল। শুক্রবার দুপুরে মেয়েটি অসুস্থ বোধ করলে তার পরিবার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভাণ্ডারিয়া শহরের এক ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে। এ সময় নির্যাতিত মেয়েটি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পরে।
পুলিশ এ ঘটনার খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারসহ সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসে। এরপর রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ফিরোজ মোল্লাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা জানান, ঘটনার দিন তিনি বিকেলে জরুরি কাজে ভাইয়ের বাড়িতে যান। ফিরতে রাত হয়। তার স্বামী কাজে বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যায় মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে লম্পট ফিরোজ মোল্লা ধর্ষণ করে। এরপর সে মেয়েটিকে নানা ভয়ভীতি দেখায়।
ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply